“Book Descriptions: আদতে শকুনি ছিলেন একজন বুদ্ধিমান, প্রতিভাশালী মানুষ। আর্যাবর্তের উচ্চ-নীচ ভেদাভেদের প্রতি তার কিছু ক্ষোভ ছিল, অভিযোগ ছিল। সেখান থেকেই প্রতিশোধ পরায়ণ হয়েছেন। হয়ত লোভীও ছিলেন। শকুনিকে বুঝতে গেলে তার এই ক্ষোভ, প্রশ্ন, লোভ আর মহাভারতের নানা কার্যকারণের দিকে লক্ষ্য করতে হয়। সেখান থেকে শকুনি চরিত্র বিশ্লেষণ করলে তাকে হয়ত সাহিত্যের প্রথম ‘সাইকোপ্যাথ’ বলেও ধরা যাবে। সে চেষ্টা করতে গিয়েই দেখলাম শকুনির মধ্যে রয়েছে নানামুখী প্রতিভা। তিনি ভালো পাশারু, হিসাবে দক্ষ। মানুষের মনস্তত্ত্ব নিয়ে ভাবতেন। আসলে মহাভারতে শকুনি কোন দৈব ক্ষমতা ব্যবহার করেনি। মানবীয় ক্ষমতা দিয়েই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
কিন্তু একালে একতরফা ‘ভিলেন’ বানিয়ে শকুনির প্রতি যে অবিচার মানুষ করছে, সেরকম অবিচার করেছেন খোদ ব্যাসদেব। মহাকাব্যে যথেষ্ট জায়গা নিয়ে তিনি শকুনিকে আঁকেননি। কোথাও না কোথাও শকুনিও বঞ্চনার শিকার। শকুনি অবশ্যই ‘খল’ ছিলেন কিন্তু তাকে আরও গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি মনে করি। সে বঞ্চনার ইতিহাস লেখা হয়নি। আমার মনে হয়েছে শকুনির কিছু বলার আছে। মহাভারতে দাঁড়িয়ে একমাত্র শকুনির পক্ষেই এমন অনেক কথা বলা সম্ভব যা বলার সাহস অন্য কারও ছিল না।” DRIVE