“Book Descriptions: ভয় আমরা সবাই পেতে ভালবাসি। ভয় পাওয়াতেও অল্পবিস্তর কেউ কেউ ভালবাসে। কিন্তু ধরুন গল্প পড়তে পড়তে কেউ যদি আপনার ঘাড়ে ঠান্ডা নিঃশ্বাস ফেলে কিংবা বাথরুমের দরজাটা যদি আপনা থেকেই খুলে যায় কোনও হাওয়া বাতাস ছাড়াই তাহলে কেমন হয় বলুন তো? শংকর দার রফিক সমগ্র পড়তে গিয়ে এমনতর অভিজ্ঞতা সব পাঠক পাঠিকা দের হয়েছে কিনা জানিনা তবে আমার বিলক্ষণ হয়েছে। পীরবাবা আর তাঁর সহকারী রফিক কে নিয়েই গল্প গুলো। পীরবাবা বা তাঁর মাজার, তন্ত্রসাধনা এগুলো আজকের যুগে কেউ মানতে চাইবে কি না,জানিনা তবে ব্যক্তিগত সূত্রে আমি তা মানি। প্রথম কয়েকটি গল্প পীরবাবার আর বাকি গল্প গুলো রফিকের। লেখক নিজের জবানীতেই ঘটনাগুলো ন্যারেট করেছেন অসাধারণ মুন্সিয়ানার সঙ্গে। আট কি নয় পর্ব আছে সমগ্র বইটায়। কিন্তু প্রতি লাইনে কি একটা গা ছমছমে ভাব, রাত্রে একা বইটা পড়লে কথা দিচ্ছি ভয় লাগবেই। শংকর দার লেখা আজ নতুন পড়ছিনা। অনেক আগে থেকেই ওনার লেখার সাথে আমার পরিচিতি। দাদা র সাথে দু একবার ফোনালাপ ও হয়েছিল। খুবই অমায়িক। আর লেখা নিয়ে কোন ও কম্প্রোমাইজ নয়। প্রতি পর্বে সরাসরি ভয়ের জায়গায় পাঠকদের নিয়ে গেছেন। দাদার লেখার একটা বড় গুণ কোন ভণিতা না করেই সরাসরি ডার্ক সাইডের অবতারণা করেছেন, তাই পড়তে গিয়ে কোথাও বিরক্তি হয় না, দীপালির ছেলে কাবলু,লেখকের নিজের মাজার থেকে ফেরার পথের সেই ভয়ংকর দর্শন কুকুর, বন্ধু বিমলের বাড়ির সেই অদ্ভুত ঘটনা, আরেক বন্ধু অমরের গাড়ির গ্যারাজের সেই অতিপ্রাকৃত শিহরণ পাঠকদের এক অন্যজগতে নিয়ে যাবেই। বইটা কিনলে অন্তত ঠকবেন না এটুকু বিশ্বাস।