“Book Descriptions: শহরের উপকণ্ঠে প্রকাণ্ড বাড়ি যার নাম সোনার তরী। এই বাড়ির সদস্যদের জীবন নিয়েই আবর্তিত হয়েছে ‘কে ভাসালে নৌকাখানি'। মা আর ঠাকুমার প্রশিক্ষণে এই উপন্যাসের অন্যতম চরিত্র সাগর আজ এক রোবট-মানব। কিন্তু হৃদয় কি সত্যিই যন্ত্র হয়ে যায়? নাকি ঝলমলে মেয়ে পারিজাতের স্পর্শে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে সেই যন্ত্রপুরুষে? পটভূমি জুড়ে রয়েছেন ব্যক্তিত্বময়ী বৃদ্ধা ডাক্তার মহাশ্বেতা, অন্তর্মুখী বিদিশা, অস্থির বৈরাগ্যে আক্রান্ত প্রভঞ্জন, বিপথগামী ভদকাই, ভালবেসে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া জোনাকি... আর আছে এবাড়ির বুড়ো দারোয়ান মুঙ্গেরিলাল, সন্ধে নামলেই যে ছুটে যায় বাড়ির পশ্চিম দিকের ছায়াঘন বাগানে। কে সেখানে অপেক্ষায় থাকে তার? এমনই বিচিত্র চরিত্রের সমারোহ এ উপন্যাস জুড়ে। জন্ম-মৃত্যুর দুই পারের মাঝে বহমান জীবন পারাবার। চিরন্তন সেই অথৈ গভীরে নশ্বর মানুষ নৌকা ভাসায়। অসহায় মানুষ জানে না সেই নৌকা কতদূর যায়। তুমুল বর্ষণ অথবা অশ্রুজল তার দৃষ্টিপথ ঝাপসা করে দেয়। তবুও সে ভরসা রাখে, হয়তো তার নৌকা পৌঁছে যাবে ভালবাসার মানুষের কাছে আর সেই আশা নিয়েই বেঁচে থাকে মানুষ। প্রেম,আত্মানুসন্ধান আর সফল মানুষের গোপন ব্যর্থতার এক জীবন্ত চিত্র এই উপন্যাস।” DRIVE