বন্ধুদের আলাদা জায়গা থাকে। যে জায়গাটা উচ্ছ্বাসের, আনন্দের, নির্ভরতার এবং স্বস্তির। ওরা ছয়জন এই বিশেষ স্থানের নাম দিয়েছে বৃষ্টিমহল। শুধু নাম দিয়েই ক্ষান্ত হয় নি। একটা কাচ দেয়ালের মহল বানানোর স্বপ্নও দেখে ফেলেছে।যে মহলের চারিধার থাকবে আয়না দিয়ে ঘেরা। মহলের ওপরের কাচের আচ্ছাদনে আকাশ সর্বক্ষণ তার মুখখানি দেখতে পাবে। তারপর বর্ষাকালে যখন ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামবে, মহলের গায়ে গায়ে বৃষ্টি তার ইচ্ছেমতন আলপনা আঁকবে আর মহলের বাসিন্দাদের মনে হবে ছাদটা আসলে কাচের নয়, আয়নার নয়, ছাদটা আসলে বৃষ্টির! এই ছেলেমানুষি স্বপ্নের বাস্তবায়ন কখনও হবে কিনা তা ওরা জানে না, তবে এটুকু জানে যে ওদের প্রত্যেকের বুকের ভেতরে একটি করে বৃষ্টিমহল আছে। থাকবে ততদিন, যতদিন ছয়জনের এই বন্ধুত্ব অক্ষুণ্ণ থাকবে। ওরা চায় আজীবন এই বৃষ্টিমহলকে টিকিয়ে রাখতে। কিন্তু চলার পথে যদি কখনো কোন এক প্রলয়ংকরী কালঝড় তীব্র বেগে ছুটে এসে গুঁড়িয়ে দিতে চায় বৃষ্টিমহলকে, ছিনিয়ে নিতে চায় ওদের বন্ধুত্ব, তখন কী করবে বৃষ্টিমহলের বন্ধুরা? সেই ঝড়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে কি? সমস্ত বাধা বিপত্তি পায়ে ঠেলে শক্ত করে ধরতে পারবে কি একে অন্যের হাত?” DRIVE