“Book Descriptions: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধর আগে থেকেই বিশ্বের সমস্ত বড়ো সামরিক শক্তি জীবাণুযুদ্ধর প্রস্তুতি শুরু করেছিল। সোভিয়েত-মার্কিন ঠান্ডা যুদ্ধর সময় থেকে দু-দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ল্যাবরেটরিতে তৈরি করেছিল কৃত্রিম ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া যাদের মারণক্ষমতা সাধারণ জীবাণুর চেয়ে বহুগুণ বেশি। সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর বহু সোভিয়েত গবেষক চাকরি খুইয়ে দেশ ছেড়ে বেরিয়ে এলেন। তাঁদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন জঙ্গি রাষ্ট্র ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জীবাণু অস্ত্র নির্মাণের কাজে হাত দিল। এরকম একটি জঙ্গি দেশের নিশানায় ভারত। বিশ্ব অর্থনীতির একচ্ছত্র আধিপত্য অধিকার লাভের উদ্দেশ্যে একটি দেশ পরিকল্পিতভাবে ছড়িয়ে দিল করোনা ভাইরাস। কিন্তু তাদের পাশার চাল উলটে দিল ভারত। যে বিপুল লোকক্ষয় এবং অর্থনীতির সর্বনাশ অনিবার্ধ ছিল, তাকে রুখে দিয়ে ভারত পরিস্থিতি সামলে নিল। শুধু তা-ই নয়, ভারতে তৈরি টিকা সম্মানজনক জায়গা করে নিল বিশ্ববাজারে। প্রতিবেশী দুটি দেশের এটা মোটেই পছন্দ নয়, তারা এবার ভারতের ক্ষতি করার জন্য নিয়োগ করল এক প্রাক্তন বিজ্ঞানীকে।
রুস্তম কারিমভ নামে এই ব্যক্তি সফল হলে আবার ভারতের বুকে নেমে আসবে ভয়াবহ মহামারি। এই আন্তর্জাতিক চক্রান্তে কিছু না জেনেই জড়িয়ে পড়ল তরুণী সাংবাদিক আরশি বসু। তার কলেজের বন্ধু মোকাবিলায় তাঁর ভূমিকা অতীব গুরুত্বপর্ণ। কিন্তু আরশির সঙ্গে দেখা করার পরেই অপহরণ করা হল সায়ন্তনকে। তদন্তকারী সংস্থার নজর গিয়ে পড়ল আরশির ওপর। সায়ন্তন যখন অপহরণকারীদের হাতে বন্দি এবং আরশি পুলিশের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টায় ব্যস্ত, তখন পৃথিবীর নানা প্রান্তে ঘটে চলেছে অদ্ভুত সব ঘটনা। হিসেবে ঘুঁটি সাজিয়ে চলেছে! সবাই জিততে চায়। একে একে হাজির হয়েছে অনেক মুখ। অন্যদিকে শক্রদেশের পরিকল্পনা রুখে দিতে সংকল্পবদ্ধ ভারতীয় গোয়েন্দারা।