সমাজের শরীর ও শরীরের সমাজত্তত্ব নিয়ে এক দুঃসাহসিক উপন্যাস এই হলদে গোলাপ। ২০১২-১৩ সাল জুড়ে প্রয়াত ঋতুপর্ণ ঘোষ সম্পাদিত রোববার-এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশকালে পাঠকসমাজ আলোড়িত হয়-যা খুব কম উপন্যাসের ক্ষেত্রেই ঘটে। কাহিনি বয়ানে মানুষের লিঙ্গ পরিচয়ের সমস্যা তুলে আনতে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমে খুঁড়েছেন ইতিহাস, নৃ-বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, শারীর বিজ্ঞান, মনস্তত্ত্ব। জিনেটিকস, মিথ-পুরাণ...। এক বিশিষ্ট সমালোচক বলেছিলেন 'স্বপ্নময়ের গল্প আমাদের শেকড় খোঁজার কোদাল।" ওই উক্তিটির কথা মনে পড়বে উপন্যাসটি পড়তে পড়তে। এই উপন্যাসটি আসলে এক সংকট-সঙ্কুল মানুষের অনুভূতিগুলি চিত্রিত হয়েছে আশ্চর্য মায়াময় দক্ষতায়। কাহিনির পরতে পরতে মিশে আছে বৈজ্ঞানিক তথ্যাবলি। শুধু বাংলা সাহিত্যে কেন, সমগ্র ভারতীয় সাহিত্যে এর আগে এভাবে কোনও উপন্যাস লেখা হয়নি
"হে ফ্রয়েড, ইয়ুং, পাভলভ, কেইনস, ডকিনস...তোমরা দেখে নাও-মন-পরিবেশ, হরমোন-জিন শুধু নয়, আরও এক প্যারামিটার আছে। যেটা শুক্লা জেনেছে-সেটা স্বপ্ন"। লিঙ্গ পরিচয়ের সংকটকে কেন্দ্র করে লেখা এই অনাস্বাদিতপূর্ব মানবিক আখ্যানটি স্নাত হয়েছে ভালোবাসার অলৌকিক জলে।” DRIVE