“Book Descriptions: এত দিন ধরে এত বই লিখেছেন সত্যজিৎ রায়, কিন্তু ‘সুজন হরবোলা’র মতো বই একটিও লেখেননি। এতকাল তাঁর লক্ষ্য ছিল মুখ্যত কিশোরবয়সীরা। এই প্রথম আরও অল্পবয়সীদের জন্য কলম ধরলেন তিনি। ডেকে নিলেন তাদের অপরূপ রূপকথার এক রাজ্যে। প্রমাণ করলেন যে, অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁর কৃতিত্ব যেমন অবিসংবাদী, বাংলা শিশুসাহিত্যের গৌরবময় যে-উত্তরাধিকার তাঁর রক্তে, উত্তরাধিকারীরূপে সেই রাজ্যপাটেও তিনি তেমনই স্বচ্ছন্দ, স্বরাট, স্বমহিম। ‘সুজন হরবোলা’য় রয়েছে চার-চারটি রূপকথার গল্প। চিরকালের রূপকথার মতোই প্রত্যেকটি আকর্ষণীয়। শুধু যা তফাৎ, সেই একঘেয়ে চেহারাটা নেই। রাজা-রানী-রাজকন্যারা সবাই আছেন, তবু কোনও গল্পই ‘এক যে ছিল রাজা’বলে শুরু হয়নি। এ-সব গল্প যাদের নিয়ে, তারা প্রত্যেকে সাধারণ ঘরের, অথচ প্রত্যেকেই খুব গুণী। কেউ ভাল গান করে, কেউ খুব নিলোভ, কেউ দৃঢ়সংকল্প, কেউ-বা হরবোলা। আর এদেরই অবাক-করা নানান কাণ্ড-কারখানা নিয়ে একেকটি রূপকথা। নানারকম পাখি আর জন্তু-জানোয়ারের হরেক বোল হুবহু নকল করে মুখ দিয়ে যারা শোনাতে পারে, তাদের বলে হরবোলা। সুজন ছিল এমনই এক হরবোলা। পড়াশুনায় মতি ছিল না তার, সে শুধু পশুপাখির ডাক গলায় তুলে বেড়াত। তাই তার নাম হয়ে গেল ‘সুজন হরবোলা’। কিন্তু হলে হবে কী, এই ডাক-নকলের বিশেষ ক্ষমতার গুণেই একদিন কপাল খুলে গেল সুজন হরবোলার । কী করে, তাই নিয়েই এ-বইয়ের নামগল্প। কপাল খুলে গিয়েছিল গঙ্গারামেরও। সৎ, নির্লোভ, পরোপকারী গঙ্গারাম খেলতে গিয়ে পেল একটা অদ্ভুত পাথর। আর সেই পাথরের কল্যাণেই কীভাবে কপাল খুলল তার, তাই নিয়ে আরেকটি রূপকথা ‘গঙ্গারামের কপাল’। এ-বইতে আরও দুটি রূপকথা। একটিতে মানুষ থেকে রাক্ষস বনে-যাওয়া একটি ছেলের গল্প। গল্পটির নাম ‘রতন আর লক্ষ্মী’। আরেকটি রূপকথা ‘কানাইয়ের কথা’। বুড়ো জগাইবাবার দেওয়া দু-রঙের দুটো ফল আর মস্ত একটা ঝিনুকের সাহায্যে কী করে অসাধ্যসাধন করল কানাই নামে এক ছেলে —সেই গল্প।” DRIVE