“Book Descriptions: এই উপাখ্যান শুরু হয় কুয়াশাঘেরা এক এ অরণ্যের শেষপ্রান্তে অবস্থিত সেই কার থেকে, যেখানে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে খোদ নগরীর রাজকন্যাকেই। বাবা-মা জীবিত নেই তার। বদলে কুয়াশানগরীর রাজা এখন প্রাক্তন মহামন্ত্রী, যাঁর নির্দেশে চোখের সামনে বদলে যাচ্ছে নগরীর হালচাল। বরাবর শান্তিপ্রিয় নগরী এখন সেজে উঠছে যুদ্ধের জন্য আর তৈরি করছে বহিরাগত শিবির। যারা কখনও না কখনও বাইরে থেকে এসেছে এ-রাজ্যে, তাদের ধরে ধরে সেখানে পাঠানো হচ্ছে। বন্দি আছে অবশ্য আরও একজন। তার নাম বিপ্লবী। সে রাজার এইসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে, দল বেঁধেছে, তাই তাকে পুরে রাখা হয়েছে বন্দিশালায়। এই বিপ্লবীকেই ভালবাসে রাজকন্যা। সেও এই নতুন রাজার বিরোধী। বিচারের পর মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত হয় বিপ্লবীর। রাজকন্যার বিরহ বিষাদে বদলে যায়। একদিকে তার দুই মায়াবিনী সহচরী তার মন ভাল করবার চেষ্টায় ব্যর্থ হতে থাকে, অপরদিকে বৃদ্ধ বিদূষকের অপবুদ্ধির জোরে নতুন রাজাও হয়ে উঠতে থাকেন ক্ষুরধার। আর ঠিক তখনই কুয়াশানগরীর মাটিতে এসে দাঁড়ায় এক আগন্তুক। নিজের পরিচয় যে দেয় ভিনদেশি ব’লে। আর জানায়, পেশায় সে স্মৃতির কারিগর। এখান থেকে কাহিনি এক অভাবনীয় দিকে মোড় নেয়। এই উপাখ্যানের পরতে পরতে জাদুর সঙ্গে মিশে যায় বাস্তবতা, সংকেতের সুতোয় বাঁধা পড়ে সময়, রাজনীতির সঙ্গে মিশ খায় রূপকথা। সংলাপে আর গানে, দৃশ্যকল্পে আর কথকতায় ‘কুয়াশানগরীর উপাখ্যান' হয়ে ওঠে এমনই এক আশ্চর্য কাহিনি, যা সমসাময়িক হয়েও চিরকালীন, আঞ্চলিক হয়েও সর্বজনীন।” DRIVE