“Book Descriptions: পাশ্চাত্যের ভয়াল সাহিত্যকে হেমেন্দ্রকুমার বাংলার কিশোর-কিশোরী পাঠকদের নাগালে এনে দিয়েছিলেন, তাঁর সৃষ্ট ভৌতিক গল্প সম্ভারের অনেকগুলির মধ্যে রয়েছে বিদেশি হরর গল্পের ছায়া। সেই ছায়া স্বদেশি কায়ার মধ্যে প্রচ্ছন্ন রেখে তিনি তৈরি করেছেন আশ্চর্য ভয়ের মায়াপুরী। সেখানে ট্রেনের কামরায় রাতের অন্ধকারে পুনরাবৃত্তি হয় অতীতের হত্যালীলা, সুন্দরী তরুণীর চেহারা পরিবর্তিত হয় হিংস্র শ্বাপদে, গভীর নিশীথে কুমুদিনী চৌধুরীর দেহধারী রক্তলোলুপ আত্মা শিকারের খোঁজ করে, মিশরীয় মমির মৃতদেহ জীবন্ত হয়ে ওঠে, দীঘির জনহীন প্রান্তরে ধ্বংস হয়ে বাংলোয় ফিরে আসে অতীত সুন্দরী, জ্বরাক্রান্ত যাত্রী চোখ মেলে দেখে বাসের চালক এক কঙ্কাল।
শুধু কায়াহীনের আবির্ভাবের নয় প্রতিটি গল্পেই লেখক বুনে চলেন শিহরনের মায়াজাল যা মায়া বিস্তার করে পাঠকের মনেও। গল্পের চরিত্রদের সঙ্গে এক গা ছমছমে ভাব যেন সংক্রামিত হয় পাঠকদের মনেও।
গল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে সম্পাদকের বিচারে তেষট্টিটি ভয়াল, রোমহর্ষক ও রোমাঞ্চকর গল্প এই গ্রন্থে স্থান পেয়েছে।
এর মধ্যে এগারোটি দুর্লভ গল্প পত্রপত্রিকা ঘেঁটে আহরিত হয়েছে, যেগুলো ইতিপূর্বে হেমেন্দ্রকুমারের কাহিনী সংকলনে স্থান পায়নি।
সূচি - মুর্তি কী? ওলাইতলার বাগানবাড়ি বাঁদরের পা বন্দি আত্মার কাহিনি জ্বলন্ত চক্ষু কোর্তা জীবন্ত মৃতদেহ অভিশপ্ত মূর্তি ভূতের রাজা অদৃশ্যের কীর্তি ছায়া-কায়া-মায়া কঙ্কাল-সারথি এক রাতের ইতিহাস কিসমৎ ডাকবাংলো দিঘির মাঠে বাংলো পিশাচ ভীমে-ডাকাতের বট রুদ্রনারায়ণের বাগানবাড়ি কে? মিসেস কুমুদিনী চৌধুরি চিলের ছাতের ঘর খামেনের মমি ক্ষুধিত জীবন শয়তান ভেলকির হুমকি শয়তানী-জুয়া বাঘের চোখ জাগ্রত হৃৎপিন্ড টেলিফোন সুর্যদেবতার পুরোহিত ভৌতিক, না ভেলকি? 'বাজলে বাঁশি কাছে আসি'! মাঝরাতের 'কল' পেপির দক্ষিণ পদ নবাব কুঠির নর্তকী মামূর্তের দানব-দেবতা মুক্তি নবাবগঞ্জের সমাধি কলকাতার বিজন দ্বীপে বাদশার সমাধি অভিশপ্ত নীলকাস্ত পোড়ো মন্দিরের আতঙ্ক আয়নার ইতিহাস রামস্বামীর উপল মণি বাড়ি, বুড়ো, বুট আধ খাওয়া মড়া আজও যা রহস্য রহস্যময় বাড়ি মানুষ, না পিশাচ? ঐন্দ্রজালিক অভিশপ্তা নসিবের খেলা বিছানা লোটা কিন্তু কায়া কি ছায়া কি মায়া তবে নবাব বাহাদুরের বংশধর মৃতদেহ নরকের রাজা” DRIVE