“Book Descriptions: সব মানুষের একটামাত্র জীবন। রফিকের জীবন দুটো। এক জীবন থেকে সে আর এক জীবনে ঢুকে পড়েছে। ব্যাপারটা ঘটে গেছে অবলীলায়। যেন ঢাকা থেকে বাসে চেপে ফরিদপুর চলে গেল। নতুন জীবনে তার জন্য শারমিন আছে। শারমিনের লোভ দেখিয়ে একটা ফাঁদ পাতা হয়েছে। ফাঁদ হলো এমন একটা জিনিস যেখানে টোপ ফেলে শিকারকে ভেতরে টেনে আনা হয়, পেছনে বের হবার দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়। তিল তিল করে পচে মরতে হয়। রফিক বোকার মতো এস ফাঁদে ধরা দিয়েছে।কিন্তু সে কি নিজেই ফাঁদে পড়তে চায়নি? তাহলে বের হওয়ার প্রশ্ন কোথা থেকে আসে? জীবন অপেরায় সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে। কোয়ান্টাম ফিজিকসে বিজ্ঞানীরা বলেন, n সংখ্যক জগৎ থাকতে পারে যেখানে n একটা অসীম সংখ্যা। এ ব্যাপারে তাঁরা ওয়েভ ফাংশন বের করেছেন, সেই ফাংশনের ল্যাব সিমুলেশন করেছেন। সিমুলেশনের রেজাল্ট প্রমাণ করে এ রকম অসংখ্য আলাদা জগৎ থাকতে পারে। হয়তো এ জগতে আমি ঢাকায় থাকি, অন্য জগতে আমেরিকায়। আরেক জগতে উগান্ডায়। আলাদা আলাদা জীবন। কেউ চাইলে আজগুবি বলে উড়িয়ে দিতে পারে। আজগুবি এবং অপ্রয়োজনীয়। এর কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা নেই। থাকবে কীভাবে? যদি ব্যাখ্যা থাকত, পৃথিবীর সব লোক বিভিন্ন মাত্রায় বিভিন্ন জীবনের মধ্য দিয়ে নেচে-গেয়ে বেড়াত। পয়সাওয়ালা মানুষ যেমন বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ায় তারপর শেষ বয়সে এসে একটা দেশে গিয়ে থিতু হয়, তেমনি আমরা বিভিন্ন জীবনের মধ্যে ঘুরে বেড়াতাম। সবচেয়ে নিখুঁত জীবনটাতে গিয়ে থামতাম। সেই পৃথিবীর মানুষ হতো তার স্বপ্নের সমান বড়।
জীবন অপেরা সেই অসম্ভব জীবনের গল্প। মিষ্টি প্রেমের গল্প।
সায়েন্স ফিকশন নয় এটি। বিজ্ঞানের উড়োজাহাজে আপনি চাপবেন। কিন্তু ঘুরে বেড়াবেন পৃথিবীর প্রাচীনতম অনুভূতির রাজ্যে। প্রেম এসে হানা দেবে। রফিক ও শারনিনের জীবন অপেরায় আপনাকে স্বাগত।” DRIVE