ফিতনার বজ্রধ্বনি
(By আলী হাসান উসামা) Read EbookSize | 20 MB (20,079 KB) |
---|---|
Format | |
Downloaded | 570 times |
Last checked | 7 Hour ago! |
Author | আলী হাসান উসামা |
পবিত্র কালামুল্লাহ শরিফ চার শত্রুকে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে : ইহুদি, খ্রিষ্টান, মুশরিক ও মুনাফিক। সেকাল-একাল, পূর্ব-পশ্চিম—এরাই আমাদের জাতশত্রু। আমাদের প্রথম কিবলা কেড়ে নেওয়া, সেখানে আমাদের প্রবেশাধিকার রুদ্ধ করা কি ইহুদিদের কাজ নয়? নানা ফ্রন্টে, ভিন্ন ভিন্ন ছদ্মাবরণে, দেশে-দেশে কি খ্রিষ্টানরা আমাদের বিরুদ্ধে জোরদার করেনি অসম যুদ্ধ? হিন্দুর অবয়বে আসাম-গুজরাট-কাশ্মিরে, বৌদ্ধের চেহারায় উইঘুর-আরাকানে কি মুশরিকরা আমাদের সঙ্গে কিঞ্চিত মানবিক আচরণও দেখিয়েছে?
এ তো গেল বাইরের শত্রু। ঘরের শত্রুরা কেমন ত্রাহিদশা ঘটাচ্ছে—তার খবর কি রাখছেন আপনি? মুনাফিক-জিন্দিকের পরিচয় জানা না থাকলে তো আপনারও এই অভিধায় ধন্য (!) হবার সমূহ আশঙ্কা! শিয়া-নুসাইরির খবর রাখলেন, চিনলেন না নব্য খারেজি আর মুরজিয়াদের। তো আপনি প্রাণসংহারক অজ্ঞতায় ভুগলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হোক তা চান, আবার খিলাফাতের নাম শুনলে ভ্রূ কুঁচকান। কালো পতাকার নাম শুনলে রি রি করে ওঠে গা। গণতন্ত্র আর জাতীয়তাবাদে স্বস্থি খুঁজতে চান—এ কেমন দ্বিচারিতা আপনার?
পাঠক! এমন দ্বিমুখী মুনাফিকি হতে রক্ষা পেতে ফিতনার বজ্রধ্বনি আপনাকে কেবল কুইনাইনই দেবে না; টনিকও সরবরাহ করবে।
সমকালীন ফিতনা-সংক্রান্ত যাবতীয় জিজ্ঞাসার খোল্লামখোলা জবাব পাবেন আলোচ্য গ্রন্থে। হৃদকমলের কৃষ্ণগহ্বরে তুমুল ঘূর্ণি তুলে এটি আপনাকে বসাবে সফেদ আলোর সামিয়ানায়। লেখক আলী হাসান উসামা ইলমি আবহে দীনি এদারায় বাস করা সত্ত্বেও বৈশ্বিক পট ও উম্মাহর অধঃগতি সম্পর্কে সম্যক অবগত বলেই হয়তো তিনি নিজস্ব চেতনার শুদ্ধতা এবং লেখালেখির স্বকীয়তায় অন্যদের চেয়ে আলাদা। তার স্বভাবজাত প্রতিভা ও স্বকীয় চেতনার চর্চিত স্ফূরণ ‘ফিতনার বজ্রধ্বনি’ আমাদের সেই বার্তাই দিয়ে যায়।
তাহলে শুরু হোক পাঠ। চলুন, ঝালিয়ে নিই জংধরা চিন্তা।
বিষয়সূচি :
* দাজ্জাল : কালো পতাকার শত্রু ; ১১
* নব্য খারেজিদের উত্থান এবং মুরজিয়া সমাচার ; ৪৭
* মুসলিম উম্মাহর আয়ু এবং কিয়ামাতের পূর্বাভাস ; ৬৩
* শতাব্দীর সবচে বড় ফিতনা : মডারেট ইসলাম ; ৭৩
* মুনাফিকদের ব্যাপারে সতর্ক হোন ; ৮৩
* শাতিমে রাসুলদের একাল-সেকাল ; ৯৬
* জাতীয়তাবাদের মূর্তি ; ১২১
* গণতন্ত্র একটি ধর্ম ; ১৩৪
* বাংলাদেশ কি দারুল ইসলাম নাকি দারুল হারব ; ১৪৫”