“Book Descriptions: বিশ্বমামা নামকরা বিজ্ঞানী হলে কী হবে, বাড়ির মধ্যে একেবারে ছেলে মানুষ। কাঁচা আম পাতলা করে কেটে নুন দিয়ে খেতে খুব ভালো বাসেন। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে কম্পিটিশন শুরু করে দেন। আবার গভীর মনোযোগ দিয়ে বিজ্ঞানের কঠিন প্রবন্ধ লিখতে লিখতে হঠাৎ বিলু ও নীলুকে ডেকে নিয়ে লুডো খেলতে বসে যান। আবার কখনো কখনো গবেষণার কাজে এমন ডুবে যান যে নাওয়া-খাওয়াও যান ভুলে।
দেখতেও অন্যসব বিজ্ঞানীদের মতন নয়। দাড়ি গোঁফ নেই, মাথায় টাকও নেই। গায়ের রঙ ধপধপে ফরসা। লম্বা ছিপছিপে চেহারায় নাকটাই যা একটু বেশি লম্বা। কথাবার্তা একটু অদ্ভুত শোনালেও সব কিছুর মধ্যেই রয়েছে বৈজ্ঞানিক যুক্তি।
হাজারিবাগের জঙ্গলে পেট্রল ফুরিয়ে গেলে সঙ্গে বয়ে নিয়ে যাওয়া পাথর গলিয়েই পেট্রল সংগ্রহ করে নিলেন বিশ্বমামা। আর সেই পাথরগুলোই যে 'অয়েল স্যান্ড’ তা কি আমরা জানতাম!
বিশ্বমামার আবির্ভাব শারদীয় কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞান (১৯৯৫)-এর পাতায়।
পত্রিকার সম্পাদকের অনুরোধেই হয়তো চরিত্রটি সৃষ্টি করেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। এতদিন ধরে বিশ্বমামার নানা কীর্তিকলাপ কিশোর জ্ঞান বিজ্ঞানের পাতাতেই আটকে ছিল। সেই সব কাহিনী নিয়েই এই প্রথম 'বিশ্বমামার গোয়েন্দাগিরি' প্রকাশিত হল। ঘনাদা-টেনিদা-ফেলুদার মতোই সকলের আপনজন বিশ্বমামার গল্প শুনতে ছোটরা যে হৈ হৈ করে ছুটে আসবে এতে আর আশ্চর্য কি।
যে ছয়টি গল্প রয়েছে -
বিশ্বমামার রহস্য হায় হায় আবিষ্কার কারসাজি ম্যাজিক গোয়েন্দাগিরি” DRIVE