“Book Descriptions: বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গী হামলা চালানোর পর সেখানকার আটজন আতঙ্কবাদী আত্মগোপন করতে এসে হাজির হয় কলকাতার এক বস্তি অঞ্চলে। পুলিশ ও জঙ্গীদের মধ্যে শুরু হয় মরণপণ লড়াই। সেই লড়াইয়ে বেশ কিছু পুলিশ কর্মীর সাথে প্রাণ যায় পাঁচ জন জঙ্গীরও। বাকি তিন আতঙ্কবাদী প্রাণ বাঁচাতে ঢুকে পরে এক মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে। সেখানে ঢুকেই তারা চিকিৎসাকেন্দ্রের ডাক্তার, রোগী ও কর্মীদের পণ-বন্দি করে ফেলে এবং কেউ বিন্দুমাত্র বেগড়বাঁই করলেই তাদের প্রাণ নিতে পিছপা হয় না। তাদের এই মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে ঢুকে আত্মগোপন করার খবর খুব দ্রুত মিডিয়ার মাধ্যমে সকলের কাছে ছড়িয়ে পড়ে, ফলস্বরূপ এই চিকিৎসাকেন্দ্রের সাথে জড়িত সকল রোগী-চিকিৎসক কর্মীদের পরিবারের সদস্যরাও এসে ভিড় জমায় নার্সিংহোমের গেটের বাইরে। পুলিশ-কম্যান্ডো চতুর্দিক দিয়ে ঘিরে ফেলে বাড়িটাকে। আতঙ্কবাদীরা পাল্টা চাল দেয়, কেউ নার্সিংহোমে ঢোকার চেষ্টা করলেই একের পর এক পণ-বন্দিদের প্রাণ নিতে তারা দ্বিধা করবে না। উদাহরণ স্বরূপ বেশ কিছু লাশ তারা গেটের বাইরে ফেলে আসে এবং তাদের কাছে মারাত্মক আধুনিক অস্ত্র-শস্ত্রও যে আছে তার প্রমাণ প্রদর্শন করে। চিফ মিনিস্টারের কাছে তারা দাবি রাখে আগামী এক ঘন্টার মধ্যে পুলিশ-মিলিটারি সরিয়ে না নিলে নার্সিংহোমের কেউ বাঁচবে না। এর মধ্যে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যায় যখন জঙ্গিরা জেনে যায় এই নার্সিংহোমে এক উচ্চপদস্থ অফিসারের ছেলেও রয়েছে। পুলিশ-কম্যান্ডোদের হাতে সময় বড়ই কম, এদিকে পরিস্থিতিও তাদের পক্ষে নয়। কি হয় এরপর?” DRIVE