“Book Descriptions: মহান সেনাপতি রুকনুদ্দীন বাইবার্স (রহিমাহুল্লাহ)-কে নিয়ে লেখা বইটি। প্রিয় বইয়ের কাতারে ফেলতে এতটুকুই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু বইটি সম্পর্কে কিছু কথা বলা দায়িত্ব মনে করছি। কারণ, আলোচনা-সমালোচনা থাকলেই শুদ্ধতা থাকে। বইটি বাইবার্স কেন্দ্রীক আবর্তিত হওয়াতে অন্যান্য অনেক মহান চরিত্রকেই তুচ্ছ করা হয়েছে। ইসলামী বইয়ের তাকমা লাগা কোন বই থেকে এটা আশা করি না। কারণ আমাদের নিকট মুখ্য দ্বীনের বিজয়।ব্যক্তি এখানে ওয়াসীলাহ মাত্র। ব্যক্তি বাইবার্স রহিমাহুল্লাহ ভুল করলেও আমরা অকপটে স্বীকার করে নিবো। দ্বীনের স্বার্থে, পরবর্তী প্রজন্মকে ভুল থেকে বাঁচানোর লক্ষে। বইটিতে সপ্তম ক্রুসেডের আল-মানসুরার যুদ্ধে বাইবার্স কে প্রধান ব্যক্তিত্ব বানিয়ে ফারিস উদ্দীন অকতাই রহিমাহুল্লাহর ভূমিকা বাদ দেয়া হয়েছে। এমনকি বইয়ে তার নামটুকুও উল্লেখ করা হয়নি। অথচ তিনিই ছিলেন সেই যুদ্ধের প্রধান সেনাপতি। বইয়ে বাইবার্সকে মামলূক সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম সুলতান বলা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হল তিনি মূলত এই সালতানাতকে একটি শক্ত ভিত্তি দেন এবং তাকে তৃতীয় বা চতুর্থ সুলতান বলা যায়। তবে সবচেয়ে ভয়ানক এবং মর্ম পীড়াদায়ক ঘটনা ঘটেছে আইন জালুতের মহানায়ক মহান সেনাপতি সাইফুদ্দীন কুতয (রহিমাহুল্লাহ)-র মত দরবেশ ব্যক্তিত্বের প্রতি লেখকের অপরিণামদর্শী কলম চালনায়। বইটিতে তাকে যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, ওয়াল্লাহি, সেটাকে জুলম ছাড়া আর কিছু বলা যায় না। লেখক লিখেছে আইন জালুতের যুদ্ধে সুলতান কুতুয না কি তার সেনাপতি বাইবার্সকে যুদ্ধে নামতে দিচ্ছিলেন না। যুদ্ধে নিজের দাপট খর্ব হওয়ার ভয়ে। অথচ ইতিহাস বলে, বাইবার্সকে যুদ্ধ করার জন্যই তিনি তাকে সিরিয়া থেকে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসেছিলেন। আইন জালুত মানেই সাইফুদ্দীন কুতয। আইন জালুত মানেই সাইফুদ্দীন কুতযের গগণ বিদারী হুংকার “ওয়া ইসলামাহ”। যুগে যুগে সংগ্রামী মুসলিমদের কানে বেঁজেছে এই ” ওয়া ইসলামাহ”। তৈরী হয়েছে গল্প-উপন্যাস। অনেকে বানিয়েছে মুভি-সিনেমা। সেই “ওয়া ইসলামাহ”-কে লেখক উপস্থাপন করেছে কুতুযের যুদ্ধ থেকে পালানোর কুটকৌশল হিসেবে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। মুসলিমদের চেতনার আকাশের একটি উজ্জল নক্ষত্র হল সাইফুদ্দীন কুতয। তারা তারিক বিন যিয়াদ, ইউসুফ বিন তাশফীনের পাশাপাশি স্বরণ করেন সাইফুদ্দীন কুতযকে। সেই কুতযকে লেখক উপস্থাপন করেছে একজন ক্ষমতা লোভী হিসেবে। যার কাছে না কি যুদ্ধ ক্ষেত্রে মুসলিমদের পতনের হাত থেকে রক্ষার চেয়েও ক্ষমতা বেশী গুরুত্বপূর্ণ।” DRIVE