পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গল
(By Pritam Basu) Read EbookSize | 27 MB (27,086 KB) |
---|---|
Format | |
Downloaded | 668 times |
Last checked | 14 Hour ago! |
Author | Pritam Basu |
ছ’শ বছর আগেকার বাঙালীর অজস্র অজানা পারদর্শিতার আলেখ্য দেখে গর্বে বুক ফুলে উঠবে, কিন্তু এক অশুভ বৈদেশিক শক্তি পঞ্চাননমঙ্গল ধ্বংস করার জন্য কেন উন্মত্তপ্রায়? বখতিয়ার খিলজি নালন্দা ধ্বংস করে তিন মাস ধরে মহামূল্যবান পুঁথি পুড়িয়ে আমাদের অতীত মুছে দিয়েছিল। তবে কি পঞ্চাননমঙ্গলের সংগে সঙ্গে হারিয়ে যাবে প্রাচীন বাঙালীর বিজ্ঞান, সাহিত্য, দর্শনের শেষ দলিল?
সদানন্দ ভট্টাচার্য পাঁচমুড়ো গ্রামের সঙ্গতিহীন জমিদার। কিন্তু বাংলার প্রাচীন সাহিত্য এবং পুঁথিপাটা নিয়ে ভদ্রলোকের বেশ নাড়াঘাঁটা আছে। বিদেশ থেকে এক ভদ্রলোক আসেন ওঁর কাছে, যাঁর নাম মিঃ ধাড়া। এঁর নাকি লন্ডনে একটা মিউজিয়াম আছে, সেখানে তিনি বাংলা সাহিত্যের পুরোনো সব পুঁথি সংগ্রহ করে রাখেন। এই পুঁথির কাজেই তাঁর এদেশে আগমন এবং সদানন্দ ভট্টাচার্যের কাছে নাড়া বাঁধা। কালাচাঁদ নামে এক পুঁথি চোর ধাড়াকে চন্ডীদাসের এক নকল পুঁথি বিক্রী করতে এসে সদানন্দের হাতে ধরা পড়ে। সদানন্দ যখন পুঁথির নকলনবীশীর ব্যাপারে জ্ঞান দিতে ব্যস্ত, সেইসময় খবর পাওয়া যায়, পাঁচমুড়ো গ্রামের প্রায় মজে যাওয়া পুকুর চয়নবিলের নীচে থেকে নাকি কিছু পাথর পাওয়া গেছে, যাতে পুরোনো কীসব অক্ষর খোদাই করা আছে। পাথরের ওপর খোদাই করা লেখা পাঠ করে সদানন্দ উত্তেজিত হয়ে উঠলেন – পঞ্চদশ শতাব্দীর বাংলা ভাষায় এক অনন্য রচনার অংশবিশেষ!
এই পঞ্চাননমঙ্গলের অস্তিত্ব নাকি অনেকটা নেক্রোনমিকনের মত। আরব মুসলমানদের কাছে এই বই নাকি, "শয়তানের পুঁথি" ।
পঞ্চাননকাব্য? মানে পঞ্চাননমঙ্গল? কিন্তু সেরকম তো কিছুর সন্ধান পাওয়া যায় না বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে...পঞ্চাননমঙ্গল আদৌ ছিল কিনা কে জানে? কিন্তু এই কাব্য মোটেই অন্যান্য মঙ্গলকাব্যের মত গূঢ় জীবনদর্শন বা দেবস্তুতি নয়। এতে লুকানো ছন্দের মধ্যে অঙ্ক।
গল্প এগিয়েছে এদিক ওদিক করে। কখনো ইতিহাস, কখনো বর্তমানকে ঘিরে। জালালুদ্দিনের সময়ের পঞ্চমুন্ডি গ্রামের ইতিহাসের ওপর ভর করে চলেছে পঞ্চাননমঙ্গল। তাতে যেমন এক বিয়োগান্তক মঙ্গলকাব্য আছে, তেমনি আছে এক অসম্ভব প্রতিভাবান বাঙালী কবিরাজের রচনায় গণিতের সাথে কাব্যের মেলবন্ধন। পড়লে চমৎকৃত হতে হয়।
লুপ্ত এক মঙ্গলকাব্য ঘিরে পাঁচমুড়োর পঞ্চাননমঙ্গল এক অসাধারণ থ্রিলার।
প্রচ্ছদ – দেবাশীষ রায়”