“Book Descriptions: আফ্রিকী দুলহান বাংলা ভাষায় রচিত একটি অনন্য পাঠক-নন্দিত উপন্যাস। এ উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট রচিত হয়েছে ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান রা. এর শাসনামলে মুসলমানদের আফ্রিকা বিজয়কে কেন্দ্র করে। আফ্রিকার তৎকালীন বলদর্পী শাসক জর্জিরের অপরুপা সুন্দরী কন্যা হেলেন এ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। হেলেন যেমন ছিলেন দুঃসাহসী তেমনি রণ-নিপুণা,যুদ্ধের ময়দানে অশ্বপৃষ্ঠে বসে তিনিও মুসলিম বাহিনীর বিরুদ্ধে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেছেন। সম্রাট জর্জির মুসলিম বাহিনীর কাছে পরাজয় আসন্ন দেখে ঘোষণা দিয়েছেন, যে বীর তার দেশকে মুসলিম বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন তার হাতে তুলে দেয়া হবে তার বিদূষী কন্যা হেলেনকে। মুসলিম বাহিনীর পক্ষ থেকেও ঘোষণা করা হয়েছে, যিনি দাম্ভিক সম্রাট জর্জিরকে হত্যা করতে পারবেন তিনি উপহার হিসেবে পাবেন সম্রাট জর্জির কন্যা হেলেনকে এবং এক লক্ষ স্বর্ণমুদ্রা। হেলেনকে পাওয়ার প্রত্যাশায় এক খ্রিষ্টান গোত্র অধিপতি আরসানুস স্বপক্ষ ত্যাগ করে মুসলিম বাহিনীতে যোগ দেন। আফ্রিকার সব বীর যোদ্ধারই প্রত্যাশা হেলেনকে পাওয়ার। এদের মধ্যে আফ্রিকার শ্রেষ্ঠ বীর সেনাপতি মারকিউস, সলওয়ানুস এবং থিওডোসও রয়েছেন।
অবশেষে মুসলিম বীর আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়েরের হাতে নিহত হলেন সম্রাট জর্জির। যুদ্ধে বন্দি হল সম্রাট-নন্দিনী হেলেন। যুদ্ধক্ষেত্রে আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের পরাজিত সম্রাট কন্যা হেলেনের প্রতি পরম সম্মান প্রদর্শন করেন। মুসলিম সৈনিকদের এই অনুপম সৌজন্যপূর্ণ আচরণে হেলেন অভিভূত ও মুগ্ধ হন। তিনি এ ধরণের আচরণ জীবনে কখনো দেখেননি। যেখানে হেলেনকে পেতে তাঁর স্বজাতির সেনাপতিরা একে অন্যের বিরূদ্ধে মরিয়া হয়ে উঠেছেন, স্বধর্ম ত্যাগ পর্যন্ত করেছেন, সেখানে মুসলিম যোদ্ধার এমন মার্জিত ও সৌজন্যপূর্ণ ব্যবহার তাকে করে তুলেছে বিস্ময়াভিভূত.....” DRIVE