“Book Descriptions: নিওলিথী সভ্যতার ধ্বংসাবশেষে বাস করে তিন - অদ্ভুত প্রাণী, লী, অয়ু আর নীম। তারা তিনজন ছাড়া গ্রহটিতে প্রাণের আর কোন চিহ্ন নেই। অদ্ভুতদর্শন এই প্রাণীরা অত্যন্ত বুদ্ধিমান। প্রত্যেকের ১১ টি করে পা, ৩৬ টি চোখ আর একজোড়া 'লুখ' আছে। প্রকান্ড সেই গ্রহে তাদের কিছুই করার নেই, তাই তারা বসে বসে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ভেবে সময় কাটায়। জটিল জটিল সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করে।
হঠাৎ একদিন সেই নির্জন গ্রহে হাইপারডাইভ দিয়ে একদল মানুষ স্কাউটশিপে করে এসে পড়ে তাদের মাঝে। দুইপক্ষই জানতে চায় পরস্পরকে। লী, অয়ু আর নীম বুঝতে পারে মানুষের কাছ থেকেই তারা জানতে পারবে তাদের সৃষ্টি রহস্য। তবে মানুষ ভয় পায় এই অতি বুদ্ধিমান প্রাণীদের...
শেষপর্যন্ত কি তারা তিনজন নিজেদের সৃষ্টির ইতিহাস জানতে পারলো? ভেদ কি হলো নিওলিথী সভ্যতার রহস্য?
লেখকের কথাঃ
'তারা তিনজন' বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীটি লেখার ইতিহাসটা বলি- স্টিমারের করে যাচ্ছি বরিশাল। সুন্দর কেবিন, বেশ ভাল ব্যবস্থা। রাতে ঘুমোতে যাবার সময় দেখি, কেবিনে আমি একা নই। প্রকাণ্ড এক মাকড়শা, বুকে ডিমের থলি নিয়ে এই কেবিনেই বসবাস করছে। ছুটে কেবিন থেকে বের হয়ে গেলাম। ব্যাখ্যার অতীত কোনো এক কারণে মাকড়শা নামক নিরীহ প্রাণীটিকে আমি অসম্ভব ভয় পাই। কেবিনে ফিরে গেলাম না। রাত কাটিয়ে দিলাম ডেকে হাঁটাহাঁটি করে। কিছু একটা নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্যে মাকড়শা নিয়ে একটা গল্প ভাবতে লাগলাম। পুরো গল্প মাথায় তৈরি হয়ে গেল। গল্পের পাত্র-পাত্রী তিনজন। তারা মানুষ নয়-অসম্ভব বুদ্ধিমান তিনটি প্রাণী-দেখতে মাকড়শার মতো। গল্পটি নিয়ে ভাবার সময় খুব আনন্দ পেয়েছি। লেখার সময়ও আনন্দ পেয়েছি। পাঠক-পাঠিকাদের এই খবরটা দেয়া জরুরি মনে করছি।” DRIVE