“Book Descriptions: কাকাবাবু আসল নাম রাজা রায়চৌধুরী তার ভাইপো সন্তু আর সন্তুর বন্ধু জোজোকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন। উদ্দ্যেশ্য হাওয়া বদল। কোন ধরনের ঝামেলায় জড়ানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। আর সেজন্যই বেশ নিরিবিলি এক জায়গায় তিনজন মিলে বেড়াতে গেছেন কাকাবাবু, সন্তু আর জোজো। কিন্তু কাকাবাবু ঝামেলায় না জড়াতে চাইলেও ঝামেলা তো ঠিকই কাকাবাবুকে খুজেঁ বের করে নেয়। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে হাটাঁহাটিঁ করার উদ্দ্যেশ্যেই হোটেল থেকে বেড়ি হয়েছেন কাকাবাবু। বেশ খানিক সময় কাটানোর পরই হটাৎ তার চোখে পড়ে দুইটা লোক তার দিকেই ছুটে আসছে। কাকাবাবুর কাছে এসে তারা পরিচয় দেয় তারা পুলিশ এবং তাদের এসপিও কাকাবাবুুকে তাদের সাথে যেতে বলেছে। কিন্তু কাকাবাবু তো যাবে না। চেনা নেই, জানা নেই তাদের সাথে কি করে যায়? লোকদুটো নিরাশ হয়ে ফিরে গেলো। হোটেলে এসে ঠিক করলেন সন্তু আর জোজোকে নিয়ে এখনি হোটেল থেকে বের হবেন তা নাহলে আবার কোন ঝামেলায় নিজের অনিচ্ছায়ই জড়িয়ে পড়বেন। কিন্তু ঝামেলা তো আর কাকাবাবুকে ছাড়বে না। তাইতো পথে কিছুদূর যেতে না যেতেই দেখা হয়ে যায় পুলিশ এসপি অরুণ ভার্গবের সাথে। তিনি প্রায় হাত ধরে অনুরোধ করে বসলেন কাকাবাবুকে। কাকাবাবুকে তাদের সাথে মান্ডিতে যেতে হবে। ভীষণ এক বিপদে পড়েছে তারা। কাকাবাবুর এক বিশেষ বন্ধু নরেন্দ্র ভার্মাই কাকাবাবুর ঠিকানা দিয়েছেন অরুণ ভার্গবকে। বন্ধুর কথা শুনে রাজি না হয়ে আর থাকা গেলো না কাকাবাবুর। কিন্তু কাকাবাবু, সন্তু আর জোজোর কাজটা কি??? মান্ডিতে শিবরাত্রির পূজা উপলক্ষ্যে আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে অসংখ্য দেবতাদের মূর্তি আনা হয়েছে। তার মধ্যে একটা মূর্তি আছে যা ২০০/২৫০ বছরেরও পুরানো। সেই মূর্তির নাম ভূতেশ্বর।আর সেই মূর্তিটাই খোয়া গেছে, খুজেঁ পাওয়া যাচ্ছে না। আর সেটাই খুজেঁ বের করে দিতে হবে। তা নাহলে দাঙ্গা সৃষ্টি হয়ে যাবে লোকজনের ভিতরে। কিন্তু এই মূর্তি কখনো কাকাবাবু দেখেন নি। তাহলে কি করে খুজেঁ বের করবেন তিনি? যাই হোক বেশি কষ্ট আর করতে হয় নি কাকাবাবুদের। মূর্তি আপনাআপনি পেয়ে গেছেন তারা। বুঝিয়ে দিয়ে এসেছেন পুলিশের কাছে। তবে কি কাহিনী শেষ? না কাহিনী বলা যায়, মাত্র শুরু হলো। কারণ এই মূর্তি খুজঁতে গিয়ে অন্যআরেক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন কাকাবাবু, সন্তু আর জোজো। তাহলে এখন কি হবে এদের? এই ঝামেলা থেকে মুক্তি কি মিলবে?” DRIVE