“Book Descriptions: ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ছোট্ট লঞ্চ দুলছে। একবার বাঁদিকে কাত হচ্ছে, আরেকবার ডানদিকে কাত হচ্ছে। সারেঙের অ্যাসিসটেন্ট হাবলু এসে জানিয়ে গেছে, স্যার লঞ্চ ডুবল বইলা। সময়ের অপেক্ষা। সব কিছুতেই ‘অপেক্ষা’ থাকে। ফাঁসির আসামিও অপেক্ষা করে কখন দড়ি গলায় পরবে। কখন জল্লাদ হ্যাঁচকা টান দিবে। আমি এবং তৃষ্ণা বসে আছি কেবিনে। কেবিনের দরজা বন্ধ। আমাদের সামনে কম্পমান মোমবাতি। মোমবাতিও অপেক্ষা করছে কখন সে দমকা বাতাসে নিভবে।
ভূমিকা হিমুর পায়ের নিচে সবসময় মাটি থাকে। সে হেঁটে বেড়ায় বিষণ্ন ঢাকা নগরীর পথে পথে। আচ্ছা, তার পায়ের নিচ থেকে মাটি সরিয়ে নিলে কেমন হয় ? সে থাকুক কিছু সময় পানির উপরে। দেখা যাক তার চিন্তা ভাবনায় কোনো পরিবর্তন আসে কি না। ও আচ্ছা! এবার তাকে তার কাছাকাছি চরিত্রের তরুণীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি। মেয়েটির নাম তৃষ্ণা। তৃষ্ণা নিয়ে রবীন্দ্রানাথ লিখেছেলেন, “চক্ষে আমার তৃষ্ণা, তৃষ্ণা আমার বক্ষ জুড়ে।” সেখানে সম্পূর্ণ তৃষ্ণামুক্ত (?) হিমু কী বলবে।