“Book Descriptions: বইটা পড়ার পড়ে একটা জিনিস আমার কাছে খোলাসা হলো। সকল দেশেই কোন না কোন কারণে অযথা দাঙ্গা-বিদ্রোহ লেগেই রয়েছে। ৭১-এর ব্যাপারটাও তারই ধারাবাহিকতা ছিল ... মানুষ ধংসাত্বক সেই পৃথিবীর শুরু থেকেই। নানা কারনে নানা অজুহাতে তারা পৃথিবীর বুকে এই ধংসলীলা চালিয়েছে, চালিয়ে যাচ্ছে। ৪৭' এর ভাগ, বাংলা ভাষাকে অগ্রাহ্য করা, পরবর্তী পাকিস্তান স্বৈরশাসণসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানীদের প্রতি পশ্চিম পাকিস্তানীদের যে সকল অত্যাচার-নির্যাতন, পরধর্মের প্রতি যে তীব্র বিতৃষ্ণা এসব থেকে সত্যিই আমাদের মুক্তির দরকার ছিল। দেশটা তারজন্যে স্বাধীন করা অতি প্রয়োজন ছিল। তবে আদৌ সেই স্বাধীনতার মুখ আমরা দেখেছি কিনা, তা একটা চিরকালীন প্রশ্ন রয়েই গেল। ৭১-কে কেন্দ্র করে আমরা সবসময়ই একেকটা জাতি-দলকে দোষারোপ করে আসছি। এটা কিন্তু ঠিক নয়। সকল বিহারীই কিন্তু গলাকাটা রাজাকার ছিল না, গল্পের জোবায়েদ সাহেবের মতও কিছু বিহারী কিন্তু ছিল। 'ঘরের শক্র বিভীষণ'-হয়ে কিছু বাঙালী যেমন পাকিস্তানীদের হয়ে কাজ করেছিল, (এটা ছিল সেই সকল বাঙালীদের চূড়ান্ত ভুল) তেমনি মুক্তিবাহিনীর হয়েও অজস্র বাঙালী কিন্তু রাইফেল নিয়েছিল কাধে। গল্পের মূল চরিত্র হচ্ছে অনিল বাগচী, হিন্দু। পিতা সুরেশ বাগচী ও বোন অতশীকে ছেড়ে সে চাকরিজীবী হিসেবে ঢাকার এক মেচে থাকে। ২৪ বছরের একজন যুবক হওয়া সত্তেও সে অসম্ভব ভীতু ধরনের একটি ছেলে। ভয় পাওয়ার বেশিরভাগ ঘটনাই অহেতুক। যেমন, ঘরে একা থাকা অবস্থায় দরজায় সাধারণ টোকা পড়লেও তার ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। মেচের এক প্রতিবেশী গফুর সাহেবের নিকট হঠাৎ একদিন রুপেশ্বর থেকে একটি খোলা চিঠি আসে। সেই চিঠিতে অনিল বাগচীর জন্যে অপেক্ষা করছিল ভয়াবহ একটি দুঃসংবাদ। গফুর সাহেব পরদিন অনিল বাগচীকে সেই দুঃসংবাদ জানালে হঠাৎ করেই অনিল সাহসী হয়ে উঠে।” DRIVE