একেই বলে শুটিং
(By Satyajit Ray) Read EbookSize | 27 MB (27,086 KB) |
---|---|
Format | |
Downloaded | 668 times |
Last checked | 14 Hour ago! |
Author | Satyajit Ray |
“ফিল্ম তৈরির কাজটাকে মোটামুটি তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম হল লেখা, দ্বিতীয় ছবি তোলা, আর তৃতীয় ছবি জোড়া।
যে ছবি লোকে পর্দায় দেখবে, সেটাই প্রথমে গল্পের মতো করে গুছিয়ে লেখা হয়। একে বলে চিত্রনাট্য।
এই চিত্রনাট্য অনুসরণ করে যখন যখন ছবি তোলা শুরু হয়, তখন সে কাজটার জন্য প্রধান হাতিয়ার হল ক্যামেরা আর শব্দযন্ত্র। এই কাজটাকেই বলে শুটিং।
শুটিং হয়ে গেলে, টুকরো টুকরো ভাবে তোলা দৃশ্যগুলো চিত্রনাট্য যেমন আছে তেমন করে পর পর সাজিয়ে যে জিনিসটা তৈরি হয় সেটাই লোকে পর্দায় দেখে।
এর মধ্যে শুটিং পর্বের কাজেই সব চেয়ে বেশি ঝামেলা আর পরিশ্রম। এই কাজটা অনেক সময় স্টুডিওর ভিতর না হয়ে হয় বাইরে, প্রাকৃতিক পরিবেশে।
গত পঁচিশ বছরে আমাকে ছবির শুটিং-এর জন্য ভারতবর্ষের নানান জায়গায় যেতে হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঘোরাঘুরি করতে হয়েছে তিনটে ছবিতে—গুপী গাইন বাঘা বাইন, সোনার কেল্লা, আর জয় বাবা ফেলুনাথ। বীরভূমের গ্রাম, বেনারসের অলিগলি আর ঘাট, সুদূর পশ্চিম রাজস্থানের মরু অঞ্চল, সিমলার বরফের পাহাড় ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় শুটিং করতে গিয়ে আমাদের যে সব অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছে, তারই কয়েকটার কথা বলা হয়েছে এই বইতে।
এই ধরনের ঘটনা ঘটে বলেই মেহনতটা আর গায়ে লাগে না। আর বাধা যেসব আসে, সেগুলো অতিক্রম করে কাজটা যদি ঠিক মতো উতরে যায় তা হলে তো আর কথাই নেই।”
সূচি:
* অপুর সঙ্গে আড়াই বছর
* বাঘের খেলা
* হুণ্ডী-ঝুণ্ডী-শুণ্ডী
* হাল্লারাজার সেনা
* উট বনাম ট্রেন
* ফেলুদার সঙ্গে কাশীতে
* তোমার পায়ে পড়ি বাঘ মামা”