“Book Descriptions: যুদ্ধ বিগ্রহের সমাপ্তিরেখা খোঁজা হয়েছে 'আর কতদিন' জহির রায়হানের একটি বড় গল্প। উপন্যাসিকাও বলা চলে। এর প্রেক্ষাপট যে ঠিক কি তা বলে মুশকিল। আপাত দৃষ্টিতে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বলা গল্প বলে মনে হতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের গল্পে চির চেনা যেসব চিত্র আমরা ফুটে উঠতে দেখি, সেসবের উপস্থিতি আছে এই গল্পেও। তারপরও এই গল্পটি শুধু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকেই ধারণ করেনি। শুধু একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরে নি। এই গল্পের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী যে যুদ্ধ বিগ্রহ হচ্ছে, সামগ্রিকভাবে সেটিকেই তুলে ধরেছে। এই গল্পের শুরুতে দেখা যায় ১৯ জন নর-নারী ঘাতকের ভয়ে লুকিয়ে আছে। পরে তাদের আশ্রয় দিলেন এক বৃদ্ধা। বৃদ্ধার পুত্র তপুও নিখোঁজ। তপু খুঁজে চলেছে তার প্রেমিকা ইভাকে। ঘাতকের আঘাতপিষ্ট নরকাগ্নি থেকে তপু উদ্ধার করল ভীতসন্ত্রস্ত ইভাকে। তারা আরেকটা ছোট ছেলেকেও খুঁজে পেল। ছোট ছেলেটাকে নিয়ে ছুটতে লাগল তারা। আর স্বপ্ন দেখতে লাগল বর্ণিল আগুনের। ওদিকে তপুর মা-ও হেঁটে চলেছে। বিশ্বের সব ছেলেহারা মায়েদের মিছিলে। নির্যাতিতা নারীদের মিছিলে। আর এদিকে তপু আর ইভা ফিরে এল তপুদের বাড়ি। ততক্ষণে তপুর বাড়ির অন্য পুরুষেরা আক্রমনে জর্জরিত হয়ে ক্রোধান্বিত হয়ে উঠেছে। নিজের ভাই বা নিজের ছেলেকেই তারা মারতে ধেয়ে এল। ছোট ছেলেটিকে নিয়ে তপু আর ইভা আবারো ছুটতে লাগল। এই দৌড় শুধু তাদের একার না। এই দৌড়ে আরও আছে বিশ্বের অসংখ্য জাতি ধর্মের অসংখ্য মানুষ, ঘাতকের হাত থেকে বাঁচতে যারা ছুটে চলেছে অবিরত। তপুর মায়ের মত মায়েদের মিছিল শেষ হবে কবে? তপু আর ইভাদের ছুটে চলা পথের শেষ কোথায়? পথ চলতে আর বাকি কত দিন, সেই প্রশ্ন সামনে রেখেই শেষ হয়েছে এই গল্প। এই গল্পের মাধ্যমে খোঁজা হয়েছে সেই প্রশ্নের উত্তর যে পৃথিবীব্যাপি হয়ে চলা এই যুদ্ধ থামবে কবে, আর কতদিন নিরীহ” DRIVE