“Book Descriptions: তিনি ময়মনসিংহে জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধানীখোলা গ্রামে (১৮৯৮-মার্চ ১৮) জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতার নাম মীর জাহান খাতুন, পিতার নাম আব্দুর রহিম ফরাযী। তিনি একজন বাংলাদেশী সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক। তিনি ১৯১৭ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাশ করেন এবং ১৯১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পাশ করেন। এই সময়টা ছিল খিলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের। তিনি ৯ বছর ময়মনসিংহে আইন বিভাগে পাশ করেন। তারপর কলকাতায় পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেন। তিনি বিশিষ্ট আইনজীবীও ছিলেন। আবুল মনসুর আহমেদ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কংগ্রেস আন্দোলনসমূহের সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩৭ সালের নির্বাচনের পরে তিনি বাংলার মুসলীম লীগের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং ১৯৪০ সাল থেকে পাকিস্তানের আন্দোলনসমূহের সাথে যুক্ত হন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে তিনি ত্রিশাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নেতৃত্বে প্রাদেশিক শিক্ষামন্ত্রী হন।পরবর্তীতে ১৯৫৭ সালে তিনি হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রীও ছিলেন। পূর্ববাংলার মঙ্গলের জন্য তিনি নানা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, বিশেষ করে শিল্পায়নে তিনি বিশেষ অবদান রাখেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের ২১দফার অন্যতম কারিগর ছিলেন তিনি। আওয়ামী মুসলিম লীগ (পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) এর প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক ছিলেন। আইয়ুব খানের শাসনামলে তিনি বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেন। মার্চ ১৮, ১৯৭৯ ঢাকায় মারা যান।” DRIVE